বুধবার   ২২ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ৭ ১৪৩২   ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৪

জোয়াবেদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত 

আবিদ হাসান বাঁধন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য জোবায়েদ হোসেনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

 

বুধবার (২২শে অক্টোবর) জোবায়েদের নিজ বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগের উদ্যেগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্স্কয চত্ত্বরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মোঃ রিপন রউফ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে, 'প্রশাসনের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান',  'আমার ভাই মরল কেনো, প্রশাসন জবাব চাই', 'জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস', ' ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই, খুনীদের ফাঁসি চাই', 'খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই'-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

 

এসময় গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের বিবরণ জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাসাহাসির প্রতিবাদ জানিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মোঃ রিপন রউফ বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরেই বিচারের দাবি জানাচ্ছি। গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা কোন ভাইবেই গ্রহনযোগ্য নয়। তারা যেভাবে হাসাহাসি করেছে, তাতে মনে হয়না তারা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছে। তারা কোনভাবেই দায়িত্বশীল আচরন করেনি। আমরা প্রকৃত খুনির শাস্তি দাবি করছি। দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে তাদের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত কর‍তে হবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত চৌধুরী সজল বলেন, আমাদের ভাই মারা যাওয়া পর অনেকক্ষণ পড়েছিল, কিন্তু পুলিশ-পিবিআই এসেছে অনেক পরে। জোবায়েদ যেখানে পড়েছিল সেখানের প্রত্যেকটি ভাড়াটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে৷ এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে পরিবারও জড়িত থাকতে পারে। আমরা অতিদ্রুত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি৷ নয়ত বিচার কিভাবে আদায় করতে পারি আমাদের জানা আছে। 

 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

 

এর আগে রবিবার বিকালে আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়িতে স্থানীয়রা জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। যে ভবন থেকে জোবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেখানে তিনি টিউশনি পড়াতেন। 

 

এ ঘটনায় জোবায়েদের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা, বর্ষার কথিত প্রেমিক মোঃ মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু ফারদিন আহমেদ আয়লান হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের সূত্রমতে, প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন ও ত্রিভুজ প্রেমের কারণে হত্যা করা হয় জোবায়েদ হোসেনকে।

এই বিভাগের আরো খবর